শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক এবং একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। দেশের ক্রান্তিকালে তার দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আঁধারের পথ অতিক্রম করে আলোকিত হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, কৃষিবিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে তিনি নিয়েছিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এমন ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়কের জীবন ও কর্ম তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই সিলেটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা ২০২৫। এই গ্রন্থমেলা সিলেটের সাহিত্যাঙ্গনে নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তাই সম্মিলিতভাবে এই গ্রন্থমেলাকে সফলে লেখিয়ে বন্ধুদের এগিয়ে আসতে হবে।
সিলেটে প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ১১ দিনব্যাপী শহীদ জিয়া গ্রন্থমেলা ২০২৫। কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেটের উদ্যোগে আগামী ২০ মে মঙ্গলবার নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উক্ত মেলা শুরু হবে। মেলা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত।
এদিকে বইমেলা সফলের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার রাতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমী প্রাঙ্গনে লেখক-প্রকাশকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কমল সাহিত্য পরিষদ সভাপতি সাজন আহমদ সাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রায়ত্ব জ¦ালানি তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান যমুনা ওয়েলের পরিচালক কবি ও বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ-কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, লেখক গবেষক অধ্যাপক ডা. আব্দুল মজিদ, ছড়াকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জুয়েল ও পাপড়ী প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী কামরুল আলম।
লেখক ও কলামিস্ট মাওলানা শামসীর হারুন রশীদের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সুচীত মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জসিম বুক হাউজের সত্ত্বাধিকারী প্রকাশক জসিম উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন নলেজ গার্ডেন স্কুল এর ভাইস প্রিন্সিপাল এম আমির উদ্দিন পাভেল, আলোর অন্বেষণ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমজেএইচ জামিল, জসিম বুক হাউজ সাহিত্য পরিষদ সভাপতি ছয়ফুল আলম পারুল, কবি জগলুল হক, কবি সাজ্জাদ আহমদ সাজু, কবি মাহফুজ জোহা, কবি কামাল আহমদ, কবি রিপন মিয়া, কবি আজমল আহমদ, প্রকাশক ও ছড়াকার সাদির হোসেন, কবি সুয়েজ আহমদ, ছড়াকার নাইমুল ইসলাম গুলজার, গীতিকার বাহার উদ্দিন বাহার, গীতিকার কয়েস আহমদ ও কবি ফাতেমা বেগম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালেহ আহমদ খসরু বলেন, আমরা কোন জাতীয় নেতাকে খাটো করে দেখতে চাইনা। সবাইকে তার প্রাপ্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে চাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে অসামাণ্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন তৎকালিন সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মুসলিম বিশে^র নেতা। এমন মহান নেতার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই গ্রন্থমেলা একটি মহৎ উদ্যোগ। মেলাটি সফল করতে সিলেটের লেখক ও প্রকাশকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আগামী ২০ শে মে হইতে ৩০শে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০টির বেশী সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। বইমেলা উপলক্ষে ‘কমল সাহিত্য পরিষদ সিলেট’ থেকে শহীদ জিয়ার ৪৪ তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মারক ‘৩০ শে মে’ স্মারকের নতুন সংখ্যা প্রকাশ হবে। এছাড়া মেলা চলাকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তি, রচনা এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। সেই সাথে চিত্র প্রদর্শনী, শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শ নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রনায়ক জিয়ার সফলতাকে মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। মেলা চলাকালীন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ফ্রি ব্লাড টেষ্ট ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার আয়োজন থাকবে।
বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিতে কমল সাহিত্য পরিষদ অফিস অথবা সভাপতির মোবাইল নাম্বারে (০১৭১২৩২৬০৯৯) যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে সেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর অন্বেষণ।