গরমে স্বস্তি পেতে ডাবের পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু শীতেও কি ডাবের পানিতে উপকার মেলে, এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে উঁকি দেয়। যদি আপনার মনেও এমন প্রশ্নের আনাগোনা থাকে তবে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের তীব্র দাবদহেই শুধু নয়, শীতেও ডাবের পানি খাওয়া জরুরি। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ডাবের পানি খাওয়ার কিছু সুফল রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ক্ষতিকারক গ্লুকোজ এবং কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতে পারে এ পানীয়। নিয়মিত এ পানীয় পানের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম, মিনারেল ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে।
গরমের মতো শীতেও ডাবের পানি পান করার বিশেষ উপকারিতার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। শীতে ডাবের দাম অন্য সময়ের তুলনায় কম থাকে। তাই এ সময় নিয়মিত খেতে পারেন ডাবের পানি।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় মানব শরীরে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয় তা থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয় এ পানীয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে আসুন একে একে তা জেনে নিই-
১। শীতের সময় ত্বকে ডিহাইড্রেশন বা পানির ঘাটতি দেখা দিলে তা দ্রুত পূরণ করতে পারে ডাবের পানি।
২। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও জিংক। এসব উপাদান শীতে শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
৩। শীতে ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে ফেটে যেতে শুরু করে। যা সহজে ডেকে নিয়ে আসে বলিরেখা, ফাইন লাইন, কপালে ভাজ, চামড়া কুচকে যাওয়ার মতো সমস্যা। যা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ভাব দ্রুত নিয়ে আসে। এ সমস্যা সমাধানেও খেতে পারেন ডাবের পানি। কারণ ডাবের পানিতে থাকে সাইটোকাইনস। যা ত্বকের কোষগুলো ভালো রাখে ও মরা কোষ দূর করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
৪। শীতে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে অনেকেরই প্রস্রাবে ইনফেকশন দেখা দেয়। আপনি কি জানেন? এ সমস্যা সমাধানেও ডাবের পানি কার্যকর।
৫। শীতে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দেবেই। তাই ডায়েটে নিয়মিত রাখতে পারেন ডাবের পানি। এ পানীয় আপনার হজম শক্তি বাড়াবে।
ত্বকের কোষকে পুনর্জীবিত করতেও সাহায্য করে ডাবের পানি। ত্বককে মসৃণ করতে এর জুড়ি নেই বললেই চলে। ত্বকের দাগ দূর করার পাশাপাশি শীতে খুশকির কারণে যে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় সে দাগ অপসারণেও এই পানীয় নিয়মিত পান করুন।