জাতীয় নির্বাচনের আগে সিলেটসহ ১২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। লক্ষ্য—নাগরিক সেবা সচল করা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য একধরনের “ট্রায়াল রান” তৈরি করা।
সরকার শিগগিরই সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে, যা স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। ১৯ আগস্ট ঢাকাসহ সব সিটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। সিলেট সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২৩ সালের ২১ জুন, তবে বর্তমানে সেখানে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। ফলে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের অবস্থান
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, “জাতীয় নির্বাচন আয়োজনই ইসির প্রধান লক্ষ্য। তবে সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “কোন কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। নির্বাচন কমিশন কেবল অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে।”