৪৪ জন আমলার অপসারণ দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতে গিয়ে পুলিশের বাধায় পড়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করলেও, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) অফিসের সামনে গিয়ে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ।
‘জুলাই অভ্যুত্থান’-পরবর্তী সময়ে গঠিত বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই প্ল্যাটফর্মটি পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রার আয়োজন করে। এতে অংশ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও কর্মী জড়ো হন।
কী দাবি জুলাই ঐক্যের?
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ— সরকারি দপ্তরগুলোতে এখনো “ভারতপন্থী ও স্বৈরাচারপন্থী” আমলারা প্রভাব বিস্তার করে আছেন। ২০ মে এক সংবাদ সম্মেলনে ৪৪ জন আমলার একটি তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি। তাদের দাবি ছিল, ৩১ মে’র মধ্যে সরকার এদের অপসারণে পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় এই পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়।
সচিবালয়ে পৌঁছাতে না পারলেও বিক্ষোভকারীরা মাউশির সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং সংশ্লিষ্ট আমলাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
অভিযোগ: ‘সিভিল ক্যু’ ও ভারতীয় প্রভাব
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, “সরকার সংস্কারের নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। সচিবালয়ে এখনো ভারতের প্রভাববলয়ে থাকা আমলারা সিভিল ক্যু-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড ‘জুলাই স্পিরিট’-এর পরিপন্থি।”
সংগঠনটির অভিযোগ, বর্তমান প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার অবস্থান ভারতের স্বার্থ রক্ষায় নিবদ্ধ, যা দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারপ্রক্রিয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।