যুক্তরাজ্যের আশ্রয় হোটেলগুলোতে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বাড়ছে ধর্ষণ, সহিংসতা ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ৩৩৯ অভিবাসীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি এবং গুরুতর শারীরিক আঘাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এসব হোটেলে প্রায় ৩২,০০০ অভিবাসী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ এবং অন্তত ৭টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আরও রয়েছে শিশু যৌন নিপীড়নের চেষ্টা ও প্রকাশ্যে অশালীন আচরণের ঘটনা।
এক ঘটনায়, মাত্র কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যে আসা এক ইথিওপীয় অভিবাসী ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরিসংখ্যান বলছে, হোটেলে থাকা অভিবাসীদের মধ্যে ১% আদালতের মুখোমুখি হয়েছেন, যা সাধারণ জনগণের ২%-এর তুলনায় কম হলেও ঘটনা ও অপরাধের ধরন সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ক্রিস ফিলিপ মন্তব্য করেন, “এই অভিবাসীরা নারীদের জন্য বাস্তব ঝুঁকি তৈরি করছে। সরকারের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণেই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।” তিনি অবিলম্বে অপরাধীদের ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান।
হোম অফিস জানিয়েছে, “যারা আমাদের আতিথেয়তা গ্রহণ করে অপরাধে জড়াচ্ছে, তাদের জন্য কোনো সহানুভূতি নেই।” যদিও তারা উল্লেখ করে, গণমাধ্যমে প্রচারিত ঘটনাগুলো বৃহত্তর ব্যবস্থার ক্ষুদ্র অংশমাত্র।
এদিকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যৌথভাবে “ওয়ান ইন, ওয়ান আউট” নামে একটি পাইলট স্কিম চালু করেছে, যাতে একজন অপরাধী অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়ে তার স্থানে আইনি প্রক্রিয়ায় একজনকে আশ্রয় দেওয়া যায়।
চলতি বছরেই ২০,০০০-এর বেশি মানুষ ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস