লন্ডনের ইজলিংটনে একটি হোটেলে আশ্রিত শরণার্থীদের ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার থিসল সিটি বার্বিকান হোটেলের সামনে অভিবাসনপন্থী এবং বিরোধী দু’টি গোষ্ঠী মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যাপকভাবে মোতায়েন করা হয় এবং সংঘর্ষের ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হোটেলবিরোধী বিক্ষোভটি “থিসল বার্বিকান নিডস টু গো – লোকালস সে নো” স্লোগানে আয়োজন করা হয়। পরে এটি ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন লাভ করে। প্রায় ১০০ জন এতে অংশ নেন, যাদের মধ্যে অনেকে “মেক ইংল্যান্ড গ্রেট এগেইন” টুপি পরে হোটেলের দিকে “রাস্তা থেকে সরাও” বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এক বক্তা দাবি করেন, পাল্টা বিক্ষোভকারীদের অর্থায়ন করছে লেবার সরকার ও ট্রেড ইউনিয়ন।
অন্যদিকে, হোটেলের সামনেই বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’-এর নেতৃত্বে শত শত মানুষ পাল্টা বিক্ষোভে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন ইজলিংটন নর্থের এমপি ও সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন। সংখ্যায় তারা হোটেলবিরোধীদের তুলনায় অনেক বেশি ছিলেন। শরণার্থীরা হোটেলের জানালা দিয়ে সমাবেশটি দেখছিলেন। বিক্ষোভকারীরা “তোমরা স্বাগত” লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে শরণার্থীদের প্রতি সমর্থন জানান।
একটি মুখোশধারী গোষ্ঠী “আমরা অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট” স্লোগান দিয়ে হোটেলবিরোধীদের দিকে অগ্রসর হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পুলিশ বিক্ষোভের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে সাতজনসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
একই দিন ম্যানচেস্টারেও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ডানপন্থী সংগঠন ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ “রি-মাইগ্রেশন” দাবিতে একটি মিছিল করে, যেখানে শতাধিক মানুষ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর দাবি তোলে। পাল্টা অবস্থান নেয় বর্ণবাদবিরোধী সংগঠনগুলো। সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ দুই পক্ষকে আলাদা করে দেয়।
ডানপন্থীদের দাবি, হোটেলে অভিবাসীদের থাকার ফলে স্থানীয় গৃহহীনদের সমস্যা বাড়ছে। অন্যদিকে অভিবাসনপন্থীরা জানান, শরণার্থীরা যুদ্ধ ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে এসেছে, তাই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান