যুক্তরাজ্য সরকার ইংল্যান্ডে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশ কর্মসূচির জন্য £২৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শিল্প কৌশলের অংশ হিসেবে রবিবার (২৩ জুন) এই পরিকল্পনার ঘোষণা দেন ব্যবসায়িক সচিব জোনাথন রেনল্ডস।
এই অর্থায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে নতুন কারিগরি উৎকর্ষ কলেজ, চালু হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ডিজিটাল উৎপাদন বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কোর্স এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
লক্ষ্য: দক্ষতার ঘাটতি পূরণ ও দেশীয় কর্মশক্তি গড়ে তোলা
এ উদ্যোগের লক্ষ্য উচ্চ-প্রবৃদ্ধি খাতে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রতিরক্ষা, ব্যাটারি উৎপাদন ও উন্নত উৎপাদন– এসব ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলা এবং বিদেশি শ্রমের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রতিভা গড়ে তোলা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ নাইজেল ফ্যারাজের অভিবাসনবিরোধী রাজনীতির জবাব এবং শিল্পভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ভোটারদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
এই ঘোষণা এসেছে এমন সময়ে, যখন রিফর্ম ইউকে পার্টি লেবার পার্টির শক্ত ঘাঁটিতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে ইংল্যান্ডে শিক্ষানবিশের সংখ্যা প্রায় ২০% কমেছে এবং প্রতি সাতজন তরুণের একজন কাজ বা শিক্ষার বাইরে, যা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শিক্ষা সচিব ব্রিজেট ফিলিপসন একে “অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের” অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “দক্ষতাই তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরির চাবিকাঠি।”
সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জ
যদিও এই তহবিল শিল্প কৌশলের একটি প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, £২৭৫ মিলিয়নের পরিমাণ চার বছরের জন্য অপ্রতুল বলে অনেকে মনে করছেন। বিশেষ করে ভারী শিল্প খাতে জ্বালানি ব্যয়, অভিবাসন নীতিমালা এবং শিক্ষানবিশ লেভি সংস্কারে আরও জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও ইউনিয়ন।
এর আগে সরকার AI প্রশিক্ষণে £১৮৭ মিলিয়ন এবং অন্যান্য খাতে ৩ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছিল, তবে সমালোচকরা বলছেন, বাস্তব চাহিদার তুলনায় পদক্ষেপগুলো এখনও সীমিত।