বিশ্ববাজারে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। গত বছরের মতো এ বছরেও মূল্যবান এই ধাতুর দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বের প্রধান ব্যাংকগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণেই স্বর্ণের দাম ভরিতে প্রায় ১ হাজার ৩শ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বৈশ্বিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাণিজ্যযুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে। এতে বিভিন্ন দেশের সরকারি খাতে স্বর্ণের চাহিদা বাড়বে। ব্যাংকটির ধারণা, এ বছর স্বর্ণের দাম ভরিতে প্রায় ১হাজার ৩শ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক স্বর্ণের চাহিদা ১ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৪ হাজার ৯৭৪ দশমিক ৫ টনে পৌঁছেছে। চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাড়তি বিনিয়োগ ও বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনার হার বৃদ্ধি।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাসও বলছে, বছরজুড়ে বাড়তে থাকবে স্বর্ণের দাম। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮৮৫ ডলারে। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২ হাজার ৮৩২ ডলারে নামলেও শেষ প্রান্তিকে স্বর্ণ বেচাকেনা হবে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৯৩৯ ডলারে।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ম্যাককুয়ারি ডিসেম্বরে জানায়, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সোনার মূল্যবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি অনেকটাই নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক, বাণিজ্য ও অভিবাসন নীতি ও প্রভাবের ওপর।
এদিকে দেশের বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে স্বর্ণের দাম। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দেশের বাজারে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।