বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা
কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলন এবার এক দফা দাবিতে নেমেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্ম থেকে সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।
রবিবার রাতে শাহবাগে অবরোধ শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে। একই সময়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি
সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটার ব্যবস্থা রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “কোটা সংস্কারের যৌক্তিকতা আমরা ২০১৮ সালেই প্রমাণ করেছি। এবারও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের আর পিছু হটার জায়গা নেই।’’
তিনি আরও বলেন, “যেখানে মেধার মূল্যায়ন নেই, সেই দেশে মেধাবীরা থাকবে কেন? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ব না।”
অবরোধের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আসিফ মাহমুদ বক্তব্য দেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর নেতারা জানান, তারা কোনো আপসে যেতে রাজি নন।
কোটার পেছনের ইতিহাস
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত ৫৬ শতাংশ কোটার সংস্কারের দাবিতে বড় আন্দোলন হয়েছিল। সে সময় আন্দোলনের চাপে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে।
তবে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটার একটি অংশকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আদালতের রায়ে সেই অংশ অবৈধ ঘোষিত হলে আবারও কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলমান এই আন্দোলন ১ জুলাই থেকে অব্যাহত রয়েছে। নেতারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।