সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনের সময় তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিতে তাকে আওয়ামী লীগের কারাবন্দি তিন সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা যায়, যা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ড. খালিদ জানান, সফরের উদ্দেশ্য ছিল কারাগারে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় বই বিতরণ এবং বন্দিদের নৈতিক শিক্ষা বিস্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। এ সময় তার সঙ্গে ডিআইজি প্রিজন, ডেপুটি জেলারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য দেশের ৭০ হাজার বন্দিকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার আওতায় আনা—যা একটি মানবিক উদ্যোগ। আমি কারাগারের রান্নাঘর, হাসপাতাল, নারী-পুরুষ শিশু ওয়ার্ড এবং ভিআইপি সেল পরিদর্শন করি। সেখানে কোনো ক্যামেরা না থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা কিছু ছবি তোলেন, যা অনুমতি ছাড়া বাইরে ছড়ানো হয়।”
তিনি দাবি করেন, ছবি ফাঁসের ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর পেছনে “পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির ষড়যন্ত্র” রয়েছে। “একটি কায়েমি সিন্ডিকেট সরকার ও জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াতে এ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে,”—মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
সফরটি সম্পূর্ণ সরকারি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে হয়েছিল বলে জানান তিনি। এ নিয়ে দৃষ্টিকোণ বদলে প্রচার চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন ড. খালিদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শেষে তিনি বলেন, “আমরা শান্তি, ন্যায় এবং সত্যের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। বিভেদ নয়—দেশের কল্যাণেই আমাদের অগ্রযাত্রা।”