২০২৪ সালে লন্ডনে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ফোন চুরির সংখ্যা ৮১,০০০ ছাড়িয়েছে। শুধু রাজধানীর ওয়েস্ট এন্ড এলাকায় গড়ে প্রতিদিন ৩৭ জনের ফোন ছিনতাই হয়েছে, যা লন্ডনের মোট চুরির এক-তৃতীয়াংশের সমপরিমাণ।
স্কটল্যান্ড ইয়ार्ड জানিয়েছে, গত বছরে ফোন চুরির হার ২০% বেড়েছে। চার বছরে লন্ডনে মোট ২,৩০,০০০ এর বেশি ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে কারণ অনেক ঘটনা রিপোর্ট হয় না।
চুরি হওয়া ফোনগুলোর পরিণতি: অপরাধীদের হাতে চুরি হওয়া ফোনগুলো বিদেশে পাচার করা হয় বা খুচরা যন্ত্রাংশে ভেঙে বিক্রি করা হয়। এই বাজারের মূল্য প্রায় £৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।
অপরাধীদের ধরন: বাইক আরোহী ছিনতাইকারী এবং পকেটমাররা প্রধানত এসব অপরাধ সংঘটন করে। ওয়েস্ট এন্ডের পাশাপাশি ব্লুমসবুরি, ওয়াটারলু ও রিজেন্টস পার্ক এলাকাও এই অপরাধের হটস্পট।
পুলিশ ও প্রযুক্তির পদক্ষেপ:
-
মেট পুলিশ নতুন ফ্লাইং স্কোয়াডের মাধ্যমে ফোন ছিনতাইকারী ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
-
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫২৬ জন গ্রেপ্তার।
-
ফোন ট্র্যাকিং প্রযুক্তি উন্নত করা হচ্ছে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করতে।
-
হটস্পট এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও সাদা পোশাকের অফিসার মোতায়েন করা হচ্ছে।
জনসাধারণের জন্য পরামর্শ:
আলোযুক্ত সিসিটিভি আওতাধীন রাস্তায় চলাফেরা করা এবং মূল্যবান সামগ্রী প্রকাশ্যে না রাখা।
চ্যালেঞ্জ:
জাতীয় পুলিশ প্রধানদের কাউন্সিল বলেছে, প্রমাণের অভাবের কারণে ব্যক্তিগত মামলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন, তাই চক্রবদ্ধ অপরাধীদের ধরার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
লন্ডনের ফোন ছিনতাই বাড়ছে, বিশেষ করে পর্যটক ও জনবহুল এলাকায়। পুলিশ ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এই অপরাধ ঠেকাতে সক্রিয় হলেও জনসাধারণকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সূত্র: দ্য মেট্রো