এক সময়ের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল ল্যান্ডফোন। শহর থেকে গ্রাম—প্রতিটি ঘরে ঘরে শোনা যেত টিএন্ডটি রিংয়ের শব্দ। কিন্তু প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনে জায়গা করে নেওয়া মোবাইল ফোনের প্রভাবেই প্রায় বিস্মৃতির পথে এই সেবা। তবুও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়নি ল্যান্ডফোন।
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল কিংবা রেস্তোরাঁয় এখনও ল্যান্ডফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি বাড়ছে ভোগান্তি। রাজধানীর হাতিরপুল, বাংলামোটর ও কাঁঠালবাগানসহ অনেক এলাকায় টিএন্ডটি সংযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রাহকদের পড়তে হয় সমস্যায়।
পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম অনিক জানান, রোগীদের তথ্য জানাতে হটলাইন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সংযোগ সমস্যার কারণে বহু সময় রোগীরা কল পেলেও সংযুক্ত হতে পারেন না। এতে হাসপাতালের সেবায় ব্যাঘাত ঘটে।
বাংলাভিশনের ব্রডকাস্ট অ্যান্ড আইটি বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার ইফতেখার হাসান অপু বলেন, “রিপোর্টারদের লাইভ কাভারেজের সময় স্টুডিওর সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ জরুরি। কিন্তু বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কাজের ধারাবাহিকতাও নষ্ট হয়। সমাধানের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে তা ধীরগতি।”
এই অভিযোগ সম্পর্কে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নীলক্ষেত অফিসের ম্যানেজার মোহাম্মদ ফয়েজ ছোটন বলেন, “আমরা অপটিকাল ফাইবারের মাধ্যমে আরও উন্নত ও টেকসই সেবা চালুর লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের সব জায়গায় দ্রুত সেবা পৌঁছাতে ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়েছে।”
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা থাকলেও, যুগের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ল্যান্ডফোন কি আদৌ তার পুরনো গতি ফিরে পাবে?