যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার সতর্ক করে বলেছেন, অভিবাসন, দারিদ্র্য এবং সামাজিক বৈষম্য ব্রিটেনে দাঙ্গা ও অস্থিরতার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। কেবিনেট বৈঠকে তিনি বলেন, জনগণ রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা হারাচ্ছে এবং সামাজিক সংহতি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
রেইনার জানান, প্রযুক্তির প্রসার ও অনলাইন আসক্তির কারণে মানুষের মধ্যে একাকীত্ব বেড়েছে এবং সামাজিক বন্ধন ভেঙে পড়ছে। বিশেষ করে অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে—বহু মানুষ মনে করে, সরকার তাদের স্বার্থে কাজ করছে না।
গত গ্রীষ্মে সাউথপোর্টে শিশু হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া জাতিগত দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে রেইনার বলেন, সহিংসতার পেছনে মিথ্যা প্রচারণা এবং চরমপন্থারও ভূমিকা রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮টি এলাকার মধ্যে ১৭টিই ছিল দরিদ্র অঞ্চল।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনের বৈচিত্র্য সাফল্যের মূল শক্তি হলেও, সরকারকে জনগণের উদ্বেগের কার্যকর সমাধান দেখাতে হবে। রেইনারের নেতৃত্বে গঠিত “সামাজিক সংহতি উন্নয়ন প্রকল্প”-এর অংশ হিসেবে আগামী দশ বছরে ৭৫টি অঞ্চলে ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে এসেক্সের এপিং অঞ্চলে একটি আশ্রয়প্রার্থী হোটেল ঘিরে চলমান বিক্ষোভ, যেখানে পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। উগ্রপন্থী টমি রবিনসন সেখানে বড় ধরনের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বলছেন, “ব্রিটেন এখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।”
সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ছুটিতে থাকলেও পরিস্থিতির নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা সমাজে বিভাজন কমাতে কাজ করবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান