যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের জন্য নির্ধারিত বেতন সীমা £৫০,০০০-এ উন্নীত হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, গবেষক এবং দক্ষ কর্মীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ রেডিটে দেওয়া আবেগঘন পোস্টে লেখেন, “লন্ডনের স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে।” তিনি জানান, বেতন সীমা বৃদ্ধি তাঁর আয়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। তাঁর মতে, নতুন এই নিয়মে যুক্তরাজ্যে থাকা তাঁর জন্য আর সম্ভব নয়।
পোস্টটি দ্রুতই আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়, যেখানে অনেক প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষক এবং পোস্টডকরা একই ধরনের হতাশা প্রকাশ করেন। একজন মন্তব্য করেন, “লন্ডনে শিক্ষার জন্য ২৭,০০০ ডলার ব্যয় একদমই বাস্তবসম্মত নয়।”
আরেকজন লেখেন, “কাঁদো না যে এটা শেষ, বরং খুশি হও যে তুমি এটা অনুভব করতে পেরেছো। হয়তো বাংলাদেশেই একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে, যেখানে খরচ অনেক কম।”
একজন অভিজ্ঞ গবেষক বলেন, “পিএইচডি বা পোস্টডকের জন্য ৫০,০০০ পাউন্ডের বেতন সীমা সম্পূর্ণ অবাস্তব। ইউরোপের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গড় বেতন ৩৭-৪০ হাজার পাউন্ডের বেশি নয়।”
অনেকেই যুক্তরাজ্যের এই নতুন নিয়মকে অভিবাসন-বিরোধী নীতি হিসেবে দেখছেন এবং মনে করছেন এর ফলে দেশটি প্রতিযোগিতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে।