ঘাড় ও গলায় কালো দাগ মূলত ওজন বেশির কারণে হয়। জিনগত কারণেও হতে পারে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, পিসিওএস ও হাইপারথাইরয়েডিজম থাকলে এই প্রবণতা বেশি হয়। ঘাড় ও গলায় প্রখর রোদ পড়েও সানবার্ন হয়ে এ দাগ হতে পারে। বিভিন্ন ধাতুর মোটা চেইন পরলেও হতে পারে।
জেনে নিন ঘাড় বা গলা কালো হয়ে যাওয়ার ৫ কারণ—
১. অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিক্যানস: এটি একটি ত্বকের অবস্থা যেখানে ঘাড়, বগল, কনুই বা শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থানে ত্বক কালো ও মোটা হয়ে যায়। এটি সাধারণত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ডায়াবেটিস, হরমোনজনিত সমস্যা বা স্থূলতার কারণে হয়ে থাকে।
২. অতিরিক্ত সূর্যের সংস্পর্শে থাকা: যারা নিয়মিত রোদে থাকেন, তাদের ত্বক অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদন করতে পারে, যা হাইপারপিগমেন্টেশনের কারণ হতে পারে।
৩. হরমোনজনিত পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা, থাইরয়েড সমস্যাসহ বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকে কালো দাগ পড়তে পারে।
৪. পরিচ্ছন্নতার অভাব: নিয়মিত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ঘাড়ে ময়লা, মৃত ত্বক জমে গিয়ে ত্বক কালো দেখাতে পারে।
৫. কিছু ওষুধ বা স্কিন কন্ডিশন: কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, স্টেরয়েড, ইনসুলিন ও অন্যান্য ওষুধ ত্বকের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। এছাড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা এলার্জিও এর জন্য দায়ী হতে পারে।
সমাধান কী?
১. প্রতিদিন ভালোভাবে ঘাড় পরিষ্কার করুন।
২. ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৪. যদি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা হরমোনজনিত সমস্যা থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৫. ঘরোয়া প্রতিকার যেমন দুধ, বেসন, লেবুর রস, অ্যালোভেরা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার যদি দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা থাকে, তবে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো।