ঢামেকে আবারও ধরা খেলেন ভুয়া চিকিৎসক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আবারও ভুয়া চিকিৎসকের ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের তৃতীয় তলায় ‘ডাক্তার পরিচয়দানকারী’ ডালিয়া নামে এক নারীকে (৩৫) আটক করা হয়। আনসার সদস্যরা তাকে সন্দেহজনক আচরণের জন্য আটক করেন এবং পরবর্তীতে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা আরমান নামে এক রোগীর মাধ্যমে জানা যায়, ডালিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের আত্মীয় পরিচয়ে হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। আরমান বলেন, “গত এক বছর ধরে বার্ন ইউনিটে ডা. সালমা আমানের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডালিয়া আমাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করত। আজ জানলাম, সে আদৌ ডাক্তার নয়।”
এদিন ডালিয়া কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করার সময় তার ভুলভাল ইংরেজি বলার মাধ্যমে সন্দেহের উদ্রেক হয়। হাসপাতালের এক চিকিৎসক তার কথাবার্তা শুনে নিশ্চিত করেন, তিনি ভুয়া চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “অ্যাপ্রোন পরা এবং গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো অবস্থায় ডালিয়াকে দেখা যায়। নিজেকে ডাক্তার বলে দাবি করলেও আটক হওয়ার পর কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে, সে একজন পেশাদার প্রতারক। আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, “ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ডালিয়াকে বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।”
প্রসঙ্গত, এটি ঢামেকে ভুয়া চিকিৎসক ধরা পড়ার প্রথম ঘটনা নয়। গত বছরের ১৭ নভেম্বর পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক হন। এছাড়া, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে টিকটক ভিডিও নির্মাতা মুনিয়া খান রোজা ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ধরা পড়েন।
প্রতারণার এমন ধারাবাহিক ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ভুয়া চিকিৎসকদের এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে।