পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তেইশের ছিলার শাপলার বিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেশ কিছু এলাকায় আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলির দেখা মিলেছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বেশ কয়েকটি স্থানে আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলির দেখা মিলেছে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন লাগার পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে পানি ছিটাচ্ছেন। এবং মঙ্গলবার সারাদিন অগ্নিকাণ্ডের এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রাখবে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট নদী থেকে পানি তুলে আগুন ছিটানোর কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় লাগা আগুন অন্তত ৬ একরজুড়ে ছড়িয়েছে। এই এলাকার লতাগুল্ম জাতীয় গাছপালা পুড়ে গেছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (এডি) আবু বক্কর জামান বলেন, ‘সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভাতে শুরু থেকেই জোয়ারের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। গত রোববার রাত থেকে আমরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। জোয়ার আসলেই আমরা আগুন নেভাতে পানি ছিটাচ্ছি। প্রথমে দশটি ইউনিট নিয়ে কাজ শুরু করি। আগুনের তীব্রতা কমে আসায় এখন পাঁচটি ইউনিট কাজ করছে। সোমবার সারারাত আগুনের এলাকায় পানি ছিটানো হয়। আগুন ছিল না বললেই চলে। মঙ্গলবার সকালে জোয়ারের পানি ছিটানোর সময় বনের ৮-১০টি এলাকায় ধোঁয়া ও কুণ্ডলি দেখতে পাই। তা খুবই সামান্য। আমরা সেখানে পানি ছিটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিভিয়ে ফেলেছি। যেখানেই আগুন দেখছি সেখানেই পানি ছিটাচ্ছি। আগুন বনের মধ্যে পড়ে থাকা পাতার নিচেই থাকায় কিছু আগুন এখনও রয়েছে। তা নেভাতে পানি ছিটানোর কাজ এখন পুরোদমে চলছে। আজ সারাদিন আমরা আগুনের এলাকাটি পর্যবেক্ষণে রাখব।’
গত শুক্রবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগলে তা নেভানোর কাজ চলার মধ্যে রোববার দুপুরে একই রেঞ্জের তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় আগুন লাগার খবর আসে। রোববার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রোববার রাত থেকে সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে। নতুন এলাকায় যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে দেয় বনবিভাগ ও গ্রামবাসী।