দক্ষিণ ওয়েলসের কিছু রেস্তোরাঁ ও টেকওয়ে দোকানে নকল হালাল মাংস সরবরাহ করার অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৪৬ বছর বয়সী হেলিম মিয়া, যিনি কার্ডিফের বাসিন্দা এবং ইউনিভার্সাল ফুড হোলসেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক, তাকে চার বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেউলিয়াত্বের সময় প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরেক অভিযুক্ত, নোয়াফ রহমান, একই বয়সের এবং কার্ডিফের বাসিন্দা, আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন এবং তাকে দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তদন্তকারীরা তাদের গুদাম থেকে প্রায় ২,৮৪০ কেজি হিমায়িত মাংস জব্দ করেন। তদন্তে উঠে আসে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তারা হালাল নয় এমন মাংসকে হালাল বলে বিক্রি করতেন। এতে অনেক রেস্তোরাঁ এবং টেকওয়ে হালাল মাংস মনে করে এসব মাংস কিনে খাবার তৈরি করেছে।
তদন্তে আরও জানা যায়—
-
মাংসগুলো নোংরা পরিবেশে রাখা হতো এবং সঠিকভাবে ঠান্ডা করা হতো না।
-
অনেক সময় মাংসের মেয়াদ পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করা হতো।
-
গুদামের কাটিং রুমে স্বাস্থ্যবিধি মানা হতো না এবং হালাল ও নন-হালাল মাংস একসাথে প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
আদালত মনে করেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করেছেন এবং লাভের জন্য মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করেছেন।
বিচারক ভেনেসা ফ্রান্সিস বলেন, এই কাজের সামাজিক প্রভাব গভীর এবং এর ফলে মানুষ প্রতারিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি ছিল একটি বড় বিপদের সম্ভাবনা, তবে ভাগ্যক্রমে এর কারণে কারও স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়নি।