নতুন ভোটার তালিকার হালনাগাদে কার্যক্রম শুরু ইসির
নতুন ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতর করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সারাদেশে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেছে। নতুন ভোটারদের জন্য তথ্য ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন, দাবি বা আপত্তি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের ভিত্তিতে যেসব নাগরিক ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের তথ্য সংশোধন বা আপত্তি নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করবেন।
ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৭ জানুয়ারির মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এসব আবেদন ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
নতুন ভোটার হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের (যেমন বাবা-মা বা ভাই-বোন) এনআইডির ফটোকপি
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (যেমন বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিল)
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, নতুন ভোটারদের তালিকায় যুক্ত করার জন্য নিয়মিত হালনাগাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে প্রায় ২৭ থেকে ২৮ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে প্রাথমিক তথ্য দিলেও অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। এ কারণে তথ্য সংগ্রহের পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিশ্চিত করা হবে, যেন কেউ বাদ না পড়ে। ২০২৬ সালের ভোটার তালিকার জন্যও তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম আগামী বছর থেকে শুরু হবে।
বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। ইসি আশা করছে, এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে বাদ পড়া এবং নতুন ভোটারদের যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে।
সংশোধনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব
নতুন ভোটারদের অধিকার নিশ্চিত করতে ইসি যথাযথভাবে কাজ করছে। এর ফলে, ভুল-ত্রুটি সংশোধন ও নতুন যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে, যা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।