যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের প্রতিবন্ধী ভাতা (PIP) এবং ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের স্বাস্থ্য সহায়তা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য ব্রিটেনের কল্যাণ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা।
বর্তমানে এই ভাতা থেকে একজন মাসে ১,২০০ পাউন্ড পর্যন্ত পেতে পারেন। কনজারভেটিভদের দাবি, এই সুবিধা শুধুমাত্র ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য সীমাবদ্ধ করা উচিত। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্থায়ী বসবাসকারী নাগরিকরা এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন না।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অন্তত একজন বিদেশি নাগরিক রয়েছে এমন পরিবারের ভাতা দাবির খরচ দ্বিগুণ হয়ে ১ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে। এই অর্থনৈতিক চাপ কমাতে টোরিরা লেবার সরকারকে স্পষ্ট সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
পিআইপি ভাতার একটি বড় অংশই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, যেমন উদ্বেগ, হালকা বিষণ্ণতা, ADHD, এমনকি ব্রণ কিংবা লেখার খিঁচুনি-এর মতো সমস্যার জন্য প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে দৈনিক গড়ে ৫৩১ জনকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য পিআইপি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে খরচের চাপ বেড়েছে।
টোরিদের প্রস্তাব অনুযায়ী,
-
ভাতার আবেদন মুখোমুখি সাক্ষাতের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে (বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনে হয়)
-
সাধারণ উদ্বেগ বা হালকা মানসিক সমস্যা যেন আর “গুরুতর অসুস্থতা” হিসেবে বিবেচিত না হয়
-
এবং শুধুমাত্র ব্রিটিশ নাগরিকরাই যেন এসব সুবিধা পান।
টোরি নেতা ব্যাডেনোচ বলেন, “আমরাই একমাত্র দল যারা বাস্তবসম্মত ও কঠোর কল্যাণ সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ছায়া কর্ম ও পেনশন সচিব হেলেন হোয়েলি লেবার সরকারের ওপর সমালোচনা করে বলেন, “তাদের পরিকল্পনা বিশৃঙ্খল ও অদূরদর্শী। যদি তারা আমাদের প্রস্তাব মানতো, তবে কোটি কোটি পাউন্ড সাশ্রয় করে দেশকে কর বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করা যেত।”
উল্লেখ্য, সরকারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ ব্যয় ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৫৮ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৩-২৪ সালে ছিল ৩৯ বিলিয়ন পাউন্ড।