মিষ্টি দেখলেই জিভে জল আসে—এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কেউ কেউ তো শুধু ছবি দেখেই মিষ্টি খেতে চাইেন! কিন্তু এই লোভ সামলাতে গিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কারণ মিষ্টির সঙ্গে ওজন, ক্যালোরি আর রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় জড়িয়ে আছে।
তবে সুসংবাদ হলো—মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছেটা সম্পূর্ণ বাদ না দিয়েও স্বাস্থ্যসচেতন থাকা সম্ভব। কিছু সহজ ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প মেনে চললেই মিষ্টির প্রতি ভালোবাসা এবং শরীরের যত্ন—দুটোই বজায় রাখা যায়।
ছানার মিষ্টি
বাড়িতে দুধ জ্বাল দিয়ে তৈরি ছানা দিয়ে বানানো যায় স্বাস্থ্যকর সন্দেশ। ছানার সঙ্গে মধু, কিশমিশ, বাদাম কিংবা অন্যান্য শুকনো ফল মিশিয়ে কয়েক মিনিট জ্বাল দিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাড়ির তৈরি ‘লো-সুগার’ সন্দেশ।
মিষ্টি ফল
যাঁদের মিষ্টি না খেলে চলেই না, তাঁরা সহজেই বেছে নিতে পারেন মিষ্টি স্বাদের ফল। আম, কলা, আপেল, আঙুর, কমলা, খেজুর, স্ট্রবেরি কিংবা তরমুজ—সবই প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর।
ডার্ক চকলেট
চকলেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর—সব চকলেটই ক্ষতিকর নয়। বিশেষ করে ডার্ক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে পরিমাণে সচেতন থাকা জরুরি।
আমন্ড-খেজুরের বরফি
সকালে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড আর খেজুর ব্লেন্ড করে বানানো বরফিও হতে পারে মিষ্টির দারুণ বিকল্প। ঠান্ডা করে ছোট ছোট টুকরো করে ফ্রিজে রেখে সহজেই উপভোগ করা যায় এই হেলদি ট্রিট।
তবে বিশেষ সতর্কতা—ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সব বিকল্পও খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রাকৃতিক হোক কিংবা বাড়িতে তৈরি, চিনি বা প্রাকৃতিক চিনি সবার জন্য সমান নিরাপদ নয়।