যুক্তরাজ্যে আসছে মিনি হিটওয়েভ, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে শুরু হতে যাচ্ছে বছরের সবচেয়ে উষ্ণ সময়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাড়তি রোদ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা গরম বাতাসের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এখনই বারবিকিউ প্রস্তুত রাখা আর সানস্ক্রিন বের করার সময়! কারণ, এই উষ্ণ আবহাওয়া অন্তত এক সপ্তাহ থাকতে পারে।
শনিবার থেকেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে শুরু করবে। সেদিন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যে। কিছু বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমাঞ্চলে, তবে পূর্বাঞ্চল অপেক্ষাকৃত শুষ্ক থাকবে, যদিও আকাশে মেঘ থাকবে।
রবিবার থেকে স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে আবহাওয়া আরও পরিষ্কার হতে শুরু করবে, রোদ বের হবে এবং তাপমাত্রা বাড়বে।
রবিবারই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লন্ডন ও ম্যানচেস্টার ম্যারাথন। লন্ডনে দৌড়ের সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে। শুরুতে তাপমাত্রা থাকবে ১৩ ডিগ্রি, আর দুপুরের দিকে তা বাড়বে ২০-২১ ডিগ্রি পর্যন্ত। ম্যানচেস্টারেও আবহাওয়া থাকবে রোদেলা, বিকেলে তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ১৭ ডিগ্রি।
সপ্তাহের শুরু থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে গরম বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠবে। বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ ইংল্যান্ড ও মিডল্যান্ডসে তা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রিতেও পৌঁছাতে পারে।
এটি এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে, এমনকি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে গরম সময় হতে পারে।
তবে এপ্রিল মাসে এরকম উষ্ণতা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। ইতিহাস বলছে, ১৯৪৯ সালের ১৬ এপ্রিল লন্ডনে এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ ২০১৮ সালের এপ্রিলে কেমব্রিজে ২৭ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল পারদ।
আবহাওয়ার যে ‘অবরুদ্ধ’ ধরণ তৈরি হয়েছে, তাতে করে গরম বাতাস ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যে আসছে। পূর্বে উচ্চচাপ আর পশ্চিমে নিম্নচাপ থাকায় এই ধরণ আগামী সপ্তাহজুড়ে থাকতে পারে।
তবে সপ্তাহান্তে উচ্চ-নিম্নচাপের অবস্থান পরিবর্তিত হলে উত্তরের দিকে ঠান্ডা বাতাস এবং দক্ষিণে কিছু বৃষ্টি আসতে পারে।
সর্বশেষ আবহাওয়ার তথ্য জানতে বিবিসির ওয়েদার অ্যাপ বা আবহাওয়ার সংবাদ দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্টিক অঞ্চলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় জেট স্ট্রিম দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে এমন ‘অবরুদ্ধ’ গরম আবহাওয়ার ধরণ ভবিষ্যতে আরও বারবার দেখা যেতে পারে।