যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত ই-স্কুটার ব্যবহারের ওপর কঠোর আইন আসছে। সরকার নতুন আইনের খসড়া তৈরি করছে, যেখানে ই-স্কুটারের জন্য লাইসেন্স প্লেট, ড্রাইভিং টেস্ট, ইন্স্যুরেন্স এবং বয়সসীমা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বোচ্চ গতি সীমা নির্ধারণের কথাও ভাবা হচ্ছে—সম্ভবত ঘণ্টায় ১২.৫ মাইল।
বর্তমানে পাবলিক রাস্তায় ব্যক্তিগত ই-স্কুটার চালানো নিষিদ্ধ হলেও, লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরে এগুলোর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছরে ই-স্কুটার জড়িত অপরাধের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছিনতাই, মাদক পরিবহন, এবং অতি উচ্চগতিতে চালিয়ে পথচারীকে আহত করার মতো অপরাধ।
একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, মার্সিসাইডে ধরা পড়া একটি স্কুটারের গতি ছিল ঘণ্টায় ৬২ মাইল—যা পুরোপুরি বেআইনি। এ ধরনের স্কুটারের কারণে গুরুতর দুর্ঘটনার উদাহরণও রয়েছে। পোর্টসমাউথে এক চিকিৎসক র্যাকেল ডেলগাডো-ক্যালস রেড লাইট ভেঙে আসা স্কুটারের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পান। ২০২২ সালে ৭১ বছর বয়সী লিন্ডা ডেভিস প্রাণ হারান এক কিশোর চালকের ধাক্কায়।
আইনজীবী নিক ফ্রিম্যান বলেন, “প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তিগত ই-স্কুটার রাস্তায় চলছে, অথচ সেগুলোর কোনো বাস্তব নিয়ন্ত্রণ নেই। এখনই ব্যবস্থা না নিলে এটা গাঁজার মতই ‘সবাই জানে, কিন্তু কিছু বলা হয় না’ ধরনের ব্যাপার হয়ে যাবে।”
ফ্রিম্যানের মতে, প্রথম ধাপে ই-স্কুটারের জন্য নম্বর প্লেট চালু করা উচিত, যাতে চালক শনাক্ত করা যায় এবং অপরাধের দায় নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।
সরকার আগামী বছরের শুরুতে একটি জনপরামর্শ প্রক্রিয়া চালু করবে, যেখানে নিরাপত্তা, অপরাধ এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের বিষয়ে মতামত নেওয়া হবে। যদিও সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন নাও হতে পারে, তবে কঠোর নীতিমালা যে আসছে, তা নিশ্চিত।
বর্তমানে ই-স্কুটার ‘রোড ট্রাফিক অ্যাক্ট ১৯৮৮’-এর আওতায় থাকলেও, নতুন আইনে এগুলোর ওপর আরও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য মেট্রো