যুক্তরাজ্যে একটি ইসরায়েলি অস্ত্র কারখানায় বিক্ষোভের ঘটনায় তদন্ত চলাকালে ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের তথ্য ইসরায়েলি দূতাবাসের সঙ্গে ভাগ করেছে—সরকারি নথিতে এমন প্রমাণ মিলেছে। এতে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
গত বছর সেপ্টেম্বরে, ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস (AGO) ইসরায়েলের উপ-রাষ্ট্রদূতকে একটি ইমেইলে CPS ও সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের যোগাযোগের তথ্য পাঠায়।
-
ওই বছরের আগস্টে, ইসরায়েলি অস্ত্র কোম্পানিতে হামলার অভিযোগে ১০ জন “প্যালেস্টাইন অ্যাকশন” কর্মীকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।
-
আইনজীবীরা বলছেন, স্বাধীন সংস্থা CPS-এর তথ্য কেন বিদেশি কূটনীতিককে দেওয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
-
মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনার ন্যায্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ‘অন্যায্য’।
আরও যা জানা গেছে:
-
ইসরায়েলি দূতাবাস আগে বিভিন্ন মামলায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছিল।
-
গ্রেপ্তারকৃতদের অনেককেই অভিযোগ ছাড়াই দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছিল, এবং তাদের মৌলিক অধিকারও সীমিত ছিল বলে দাবি করা হয়।
-
ব্রিটিশ সরকার বলছে, তারা কেবল তথ্য ভাগ করেছে, মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় স্বাধীন প্রসিকিউশন সংস্থা এবং আদালত।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের সহযোগিতা আইনি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।