যুক্তরাজ্য সরকার ভুয়া ইমিগ্রেশন পরামর্শদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। নতুন প্রস্তাবিত “বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম এবং ইমিগ্রেশন বিল”-এর আওতায়, যারা বৈধ নিবন্ধন বা অনুমতি ছাড়াই অভিবাসন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করবে, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। অপরাধ প্রমাণিত হলে এসব ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ £১৫,০০০ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে এবং প্রয়োজনে দ্রুত সাসপেন্ড করাও সম্ভব হবে।
বর্তমানে, ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইস অথরিটি (IAA)-এর অনুমোদন ছাড়া পরামর্শ দেওয়াটাই অপরাধ। তবে নতুন আইনে এ অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তি আরও জোরালো ও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে। আইনটি কার্যকর হলে, নিবন্ধিত পরামর্শদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আসলে দ্রুত তদন্ত চালানো এবং প্রয়োজন হলে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুযোগ থাকবে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ভুয়া পরামর্শদাতারা বিশেষ করে অনলাইনে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লক্ষ্য করে প্রতারণা করছে এবং বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, সুকবিন্দর সিং কাং নামের এক প্রতারক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে রেজিস্টার্ড পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অভিবাসীদের কাছ থেকে হাজার হাজার পাউন্ড আত্মসাৎ করেন। পরে আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।
বর্ডার সিকিউরিটি মন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ইগল এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন, “ভুয়া আইনজীবীরা দুর্বল ও বিভ্রান্ত অভিবাসীদের আরও বিপদে ফেলছে। নতুন আইন এসব অপরাধকে কঠোরভাবে দমন করবে এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।”
হোম অফিস জানিয়েছে, তাদের বিশেষ টিম “পেড” ইতোমধ্যে লন্ডনে এক ভুয়া আইনজীবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যিনি যথাযথ যোগ্যতা বা নিবন্ধন ছাড়াই শত শত অবৈধ আবেদন জমা দিয়েছিলেন।
সরকারের এই নতুন উদ্যোগ অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, অভিবাসী জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।