যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বিদেশিদের আর আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো, দেশের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা ও জনমতের প্রতিফলন ঘটানো।
স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, নতুন একটি বিলের (সীমান্ত নিরাপত্তা, আশ্রয় ও অভিবাসন বিল) সংশোধনীতে বলা হচ্ছে—যেসব বিদেশি যৌন অপরাধের কারণে “যৌন অপরাধী তালিকায়” আছেন, তারা যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের দাবি করতে পারবেন না, এমনকি শাস্তির মেয়াদ এক বছর না হলেও।
এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে এমন সময়, যখন রিফর্ম পার্টির উত্থান নিয়ে সরকার চাপের মুখে রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিবর্তনকে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছে, যা যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্বরাষ্ট্র দপ্তর আরও বলেছে:
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে।
-
অভিবাসন আদালতগুলোকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে বলা হবে।
-
যেসব অপরাধী আশ্রয় হারাবেন, তাদের এখনও মানবাধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করার সুযোগ থাকবে।
মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে অনেকের ক্ষেত্রে ন্যায্য বিচার বিঘ্নিত হতে পারে। এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তনের পেছনে একটি বড় ঘটনা হচ্ছে, একজন যৌন অপরাধী (আব্দুল এজেদি) অতীতে আশ্রয় পেয়েছিলেন এবং পরে একটি ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা চালান। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এবং সরকারের চাপ বাড়ে।