যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে ছাত্র ও এক্সচেঞ্জ ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপাতত নতুন সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে না, তবে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারসমূহ যথারীতি চলবে।
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, সব ধরনের স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই আরও বিস্তৃত ও কঠোর করা হবে।
এই বিষয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, “কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করি এবং সেই প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করা হচ্ছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা পাওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে, বিশেষ করে তাদের অনলাইন কার্যক্রম এখন থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করছে— মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বামপন্থী মতাদর্শের আধিক্য, ইহুদিবিদ্বেষ এবং ভর্তিতে বৈষম্য রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি ডলারের তহবিল বন্ধ এবং বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আমন্ত্রণ স্থগিতের উদ্যোগও নেয় প্রশাসন। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় একটি আয়ের উৎস আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কারণ তারা সাধারণত স্থানীয়দের তুলনায় বেশি টিউশন ফি দিয়ে থাকেন। তাই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, চাপে পড়বে গোটা মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও।