কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছায়। পাল্টাপাল্টি হামলার মাধ্যমে শুরু হয় সীমান্তে তীব্র সংঘর্ষ। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ ও যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে অবশেষে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এর মেয়াদ ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ পাকিস্তান জানায়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি এখানেই শেষ হচ্ছে না। বরং এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং আর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
রবিবার (১৮ মে) ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, “যারা মনে করছেন এই যুদ্ধবিরতি সাময়িক, তাদের জানিয়ে দিতে চাই— ডিজিএমও পর্যায়ে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতির কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই এই যুদ্ধবিরতিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির রূপ দিতে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে।”
তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই বক্তব্যের পর এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান বহুদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।