প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় হলুদ একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রোদে পোড়া ত্বক থেকে শুরু করে ব্রণ, র্যাশ, অ্যালার্জি, এমনকি পোড়ার দাগ দূর করতেও এর কার্যকারিতা অনন্য। ত্বকের উভয় স্তরে কাজ করে হলুদ, তবে এর সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে ফলাফল হয় আরও চমকপ্রদ।
ত্বক অনুযায়ী হলুদের ব্যবহার
ত্বকের ধরন অনুযায়ী হলুদের সঙ্গে কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে কার্যকারিতা বাড়ে:
-
তৈলাক্ত ত্বক: কাঁচা দুধ, বেসন বা আটা/ময়দা, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
-
শুষ্ক ত্বক: মধুর বদলে ব্যবহার করুন টক দই, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
হলুদ ব্যবহারের পরপরই রোদে যাওয়া ঠিক নয়। এতে ত্বক জ্বলে যেতে পারে। তাই রাতে হলুদ ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো সময়।
সৌন্দর্যচর্চায় হলুদের ৮টি উপকারিতা
১. প্রাকৃতিক স্ক্রাব: হলুদ ও ময়দা মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে ত্বক হয় কোমল ও উজ্জ্বল।
-
ত্বক উজ্জ্বলতা: গাজরের রস, বেসন ও জলপাই তেলের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
-
ব্লিচের বিকল্প: হলুদ ও লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে।
-
আর্দ্রতা ধরে রাখে: হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও চেহারায় এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
-
ব্রণ নির্মূল: কাঁচা হলুদের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয় এবং ত্বকের ক্লান্তভাব কমে।
-
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার: হলুদ ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ ত্বককে জীবন্ত ও মসৃণ রাখে, সঙ্গে অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণও রয়েছে এতে।
-
পোড়া দাগ দূর: পোড়া দাগ হালকা করতে হলুদ বাটা, মুলতানি মাটি, শসার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
-
চোখের নিচের কালো দাগ: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের নিচের কালো দাগ হালকা করতে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক।