শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম শহীদ মিনার এবং পরবর্তীতে ২০০১ সালে স্থপতি মহিউদ্দিন খানের নকশায় নির্মিত বর্তমান শহীদ মিনার দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে। দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সিলেটের এই শহীদ মিনারটির অবস্থা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচুস্থানে অবস্থিত, এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী, দর্শনার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দেখছেন, শহীদ মিনারটির সাপোর্ট দেয়াল, বেদী, সিঁড়ি ও অন্যান্য জায়গায় ফাটল, গর্ত ও সিরামিকের ইট সরে যাওয়ার মতো সমস্যার কারণে এর নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এ ছাড়া শুধু জাতীয় দিবসগুলোর সময় মিনারটি সামান্য যত্ন নেওয়া হলেও, বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে এর কোনো ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, শহীদ মিনারের বর্তমান অবস্থা একটি দুঃখজনক ঘটনা। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে এটি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয়ে থাকে। তবে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, “শহীদ মিনার আমাদের ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় প্রতীক। এখন এটি অবহেলা ও ফাটলের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি, যা দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এটি সংস্কার করা।”
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল করিম বলেন, “শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের প্রতীক, আমাদের সাহসের মূল শেকড়। এটি অযত্নে পড়ে থাকলে আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে বেইমানি করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, শহীদ মিনারটি যত্নসহকারে সংস্কার ও সংরক্ষণ করুন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরের কাছে শহীদ মিনারের অবস্থা সম্পর্কে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।