কোরবানি মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন ইবাদত, যার মাধ্যমে কেবল কোরবানি দানকারী নয়, বরং সমাজের সবাই উপকৃত হন। এই ইবাদত কিছু মানুষের ওপর ওয়াজিব হয়—যারা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক এবং ইসলামি শরিয়তের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেন।
অনেকেই জানতে চান—স্ত্রীর ওপর যদি কোরবানি ওয়াজিব হয়, তাহলে কি স্বামীর টাকায় তা আদায় করা যাবে?
ইসলামী শরিয়তের বিধান কী বলে?
ফকিহদের মতে, যদি কোনো নারী (স্ত্রী) কোরবানির নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। অর্থাৎ, যদি তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সমমূল্যের সম্পদ থাকে, তাহলে তাকে কোরবানি করতেই হবে।
এক্ষেত্রে—
-
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি সম্পদশালী হন, তবে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে আলাদা কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। স্বামীর কোরবানি স্ত্রীর পক্ষ থেকে যথেষ্ট নয়, এবং স্ত্রীর কোরবানি স্বামীর জন্য যথেষ্ট নয়।
-
তবে, স্বামী যদি নিজে কোরবানি দেওয়ার পাশাপাশি নিজের টাকায় স্ত্রীর পক্ষ থেকেও কোরবানি দেন, তাহলে স্ত্রীর ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। একই কথা প্রযোজ্য বাবা ও সম্পদশালী সন্তানের ক্ষেত্রেও।
-
অর্থাৎ, ওয়াজিব কোরবানি আদায়ে অবশ্যই নিজের টাকা খরচ করতে হবে—এমন কোনো শর্ত নেই। কেউ যদি উপহার হিসেবে কোরবানির পশু পায় এবং তা দিয়ে কোরবানি করে, তাও গ্রহণযোগ্য।
সংক্ষেপে:
স্ত্রীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব হলে তা স্বামীর টাকায় আদায় করা যাবে, যদি তা তার পক্ষ থেকে করা হয়। তবে উভয়ই যদি সম্পদশালী হন, তাহলে দুজনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে কোরবানি করা শরিয়ত অনুযায়ী আবশ্যক।