নম্বিওর (Numbeo) ২০২৫ সালের সেফটি ইনডেক্সে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাঁচটি মুসলিম-প্রধান দেশ বিশ্বের ২০টি সবচেয়ে নিরাপদ দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এসব দেশে জননিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর আর প্রশাসনিক দক্ষতা প্রশংসনীয়।
২০২৫ সালে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ মুসলিম-প্রধান দেশগুলোর মধ্যে নম্বিওর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচটি মুসলিম-প্রধান দেশ নিরাপত্তার উচ্চ মানদণ্ড বজায় রেখে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। এসব দেশ নাগরিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাদের উন্নত জীবনমান ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই তারা শীর্ষে আছে।
নিরাপত্তা সূচকে স্থান পাওয়া পাঁচটি মুসলিম-প্রধান দেশ ও তাদের স্কোর-
🔹 সংযুক্ত আরব আমিরাত: ২য় স্থান, নিরাপত্তা সূচক স্কোর: ৮৪.৫
🔹 কাতার: ৩য় স্থান, নিরাপত্তা সূচক স্কোর: ৮৪.২
🔹 ওমান: ৫ম স্থান, নিরাপত্তা সূচক স্কোর: ৮১.৭
🔹 সৌদি আরব: ১৪তম স্থান, নিরাপত্তা সূচক স্কোর: ৭৬.১
🔹 বাহরাইন: ১৬তম স্থান, নিরাপত্তা সূচক স্কোর: ৭৫.৫
এসব দেশের উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা আর পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর ফলে দেশগুলো কেবল অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাই বজায় রাখছে না, বরং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তাদের মর্যাদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিরাপত্তা ও উন্নয়নের যুগান্তকারী পদক্ষেপও দেশগুলো গ্রহণ করে থাকে। এই দেশগুলো শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তি, শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে।
জানা যায়, এ দেশগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, সিসিটিভি মনিটরিং, স্মার্ট পুলিশিং, ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধ হ্রাস করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচারাভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে বলেও জানা যায়। এছাড়াও পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ফলে পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হচ্ছে।
নম্বিওর সেফটি ইনডেক্স বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার মানদণ্ড নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই তালিকায় মুসলিম-প্রধান দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তি তাদের জননিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতি ও অগ্রগতির একটি স্বীকৃতি।
বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্বেগ যখন একটি বড় বিষয়, তখন এই দেশগুলোর সাফল্য অন্যান্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। সরকারি নীতি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, ও জননিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপের মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এই অসাধারণ অর্জন শুধু দেশের নাগরিকদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়, বরং বৈশ্বিক পর্যায়ে মুসলিম-প্রধান দেশগুলোর ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সূত্র: ইসলামিক