হাউজ অব লর্ডস–এর একটি নতুন দরজার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯.৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা)। অথচ, অবাক করার মতো বিষয়—এই দরজাটি সঠিকভাবে খোলেই না!
প্রথমে দরজার প্রকল্প ব্যয়ের কথা ছিল ৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খরচ বেড়ে প্রায় ১০ মিলিয়নে পৌঁছায়। এখন দরজাটি খোলার জন্য একজন নিরাপত্তাকর্মীকে সারাক্ষণ বসে থেকে একটি বোতাম চাপতে হয়। এক সদস্য হিসাব করে বলেছেন, শুধু এই কাজের জন্য নিরাপত্তাকর্মীর সাপ্তাহিক বেতন ২,৫০০ পাউন্ড!
তদন্তের নির্দেশ
এই ঘটনার পর লর্ড স্পিকার লর্ড ম্যাকফল একজন স্বাধীন সদস্য, সাবেক সরকারি অডিটর লর্ড মোর্সকে বিষয়টি তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছেন। তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে:
-
দরজা ঠিকমতো কাজ করছে না কেন,
-
বাজেট এত বেড়ে গেল কীভাবে,
-
ঠিকাদারদের কী ভুল ছিল,
-
নিরাপত্তা খরচ কে দিচ্ছে ইত্যাদি।
সংসদে ক্ষোভ
লর্ড গার্ডিনার, যিনি সংসদ ভবনের দায়িত্বে আছেন, বলেন:
“লর্ডস ভবনের প্রধান প্রবেশপথ এভাবে কাজ না করাটা একদমই অগ্রহণযোগ্য। দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে।”
তিনি আরও বলেন, দরজার সমস্যার খরচ সংসদ নয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে।
লর্ড রোবাথান, সাবেক মন্ত্রী বলেন:
“এটা একটা কেলেঙ্কারি। কারা এর জন্য দায়ী, তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত।”
লর্ড হেইওয়ার্ড প্রশ্ন তোলেন:
“সপ্তাহে ২,৫০০ পাউন্ড খরচ করে মানুষ বসিয়ে দরজা খোলা—এই টাকা কি জনগণের কর থেকে আসছে?”
জবাবে লর্ড গার্ডিনার জানান, দায়িত্বে থাকা কর্মীরা নতুন নন, সংসদের নিয়মিত কর্মী। তবে দরজাটি কবে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জনগণের প্রশ্ন: এত খরচ কতটা যুক্তিযুক্ত?
এই ঘটনায় সংসদ ভবনের খরচ, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এমন একটি দরজার জন্য এত ব্যয় — সেটি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?