ইরান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজনকারীদের জন্য একটি বৈশ্বিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরণের সচিবালয় তৈরি করে বিভিন্ন দেশকে কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও সমন্বয়ে সহায়তা করতে পারে বলে আশা করে দেশটি।
ইরানের আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার সচিবালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ রেজা পোরমুইন এমন প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেছেন, ইরানে কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য সচিবালয় থাকলেও বিশ্বের মুসলিম দেশগুলাতে এমন একটি সচিবালয় প্রয়োজন। কোরআনকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে মুসলিম দেশগুলোর এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ সচিবালয় অনুমোদিত হলে বিভিন্ন বিশেষায়িত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এতে কোরআনিক প্রকাশনা, প্রযুক্তিগত ও একাডেমিক প্রশিক্ষণ, কোরআন বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, প্রতিযোগিতার বিচারকাজ, বিশিষ্ট কোরআনি ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, প্রতিযোগিতার তদারকি ও মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রস্তাবিত সচিবালয়ের সম্ভাব্য সুফল সম্পর্কে মোহাম্মদ রেজা পোরমুইন বলেন, এ সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্ভাব্য কিছু সুফলের কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, কোরআনিক প্রতিযোগিতার আয়োজনের ক্ষেত্রে উন্নত সমন্বয়, প্রতিযোগিতার জন্য মানসম্মত নীতিমালা তৈরি, অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগাভাগি
বিভিন্ন দেশে কোরআনিক বিশেষজ্ঞ পাঠানো, কোরআন গবেষণার জন্য একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা।
এ প্রস্তাব এমন সময়ে এসেছে যখন ইরানে সম্প্রতি ৪১তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মাসে দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শহর মাশহাদে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২৭টি দেশের ৫৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ কোরআনিক প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃত এ আসর প্রতিবছর ইরানের আওকাফ কর্তৃক আয়োজিত হয়। প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য মুসলমানদের মধ্যে কোরআনিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচার করা। কোরআন তেলাওয়াত ও হাফজেদের দক্ষতা তুলে ধরা। সূত্র: ইকনা ইন্টারন্যাশনাল