বিশ্বখ্যাত পরামর্শদাতা সংস্থা PwC-এর এক জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য বিনিয়োগের জন্য এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য এ স্থানটি অর্জন করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত সম্পর্কে একটি ইতিবাচক সংকেত দেয়।
এই জরিপটি ১০৯টি দেশের প্রায় ৫,০০০ প্রধান নির্বাহীর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এবং দাভোসের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য চীন, জার্মানি এবং ভারতের মতো দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে।
এটি যুক্তরাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, কারণ এটি দেশটির ২৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চতর র্যাঙ্কিং। চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস এই ফলাফলকে প্রশংসা করে বলেছেন, “বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতারা যুক্তরাজ্যকে সমর্থন করছেন, এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।”
রিভস নিজেও দাভোসে গিয়ে যুক্তরাজ্যকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবেন। এদিকে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৪% প্রধান নির্বাহী যুক্তরাজ্যকে আগামী বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
জার্মানি (১২%) এবং চীন (৯%) এর পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে। তবে, বর্তমান বিশ্বে জার্মানি মন্দার মোকাবিলা করছে এবং চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কিছুটা বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দেয়।
মন্ত্রীরা আশা করছেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীল সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যবসায়িক সমালোচনা হলেও, যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দৃঢ় আস্থা দেখাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।