বৈশাখী বিকেলের স্বাদে ঐতিহ্য ছোঁয়ানো এক মজার আয়োজন!
নকশি পিঠা—শুধু পিঠা নয়, এটি বাঙালির ঐতিহ্য ও শিল্পবোধের প্রতীক। সাধারণত জটিল ডিজাইন তৈরি করার ভয়েই অনেকে এই পিঠা ঘরে তৈরি করতে চান না। কিন্তু একটু বুদ্ধি ও সহজ কিছু কৌশল জানলেই ঘরেই ঝটপট তৈরি করা যায় এই মনকাড়া পিঠাটি।
নতুন রাঁধুনিরাও পারবেন অনায়াসে তৈরি করতে। আর বৈশাখের দিনে বিকেলের নাশতায় এই পিঠা নিয়ে আসবে উৎসবের এক আলাদা আবেশ।
🧺 প্রয়োজনীয় উপকরণ:
-
চালের গুঁড়া – ৩ কাপ
-
ময়দা – ১ কাপ
-
দুধ – ১ লিটার
-
গুড় বা চিনি – ১ কাপ
-
লবণ – পরিমাণমতো
-
সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) – ২ কাপ
-
ঘি – ১ টেবিল চামচ
-
পানি – ২ কাপ
🔸 নকশা তৈরির জন্য দরকার হবে:
একটি বোতলের ক্যাপ, একটি শক্ত কাগজ, একটি বড় চুড়ি, ও একটি টুথপিক বা কাঠি।
🍳 প্রস্তুত প্রণালি:
-
মণ্ড তৈরি:
একটি পাত্রে সামান্য লবণ দিয়ে পানি গরম করুন। পানি ফুটে উঠলে তাতে চালের গুঁড়া দিন। নেড়ে মণ্ড তৈরি করুন। ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর হাতে ভালো করে মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। -
রুটি বানানো:
প্রতিটি বল থেকে ছোট গোল রুটির মতো করে বেলে নিন, একটু মোটা রাখতে হবে। মাঝখানে বোতলের ক্যাপ দিয়ে হালকা চাপ দিন, গোল ছাপ পড়বে। -
নকশা করা:
ছাপের ভেতরে একটি টুথপিক ঢুকিয়ে হালকা করে উপরে টেনে দিন, এতে পাপড়ির মতো নকশা হবে।
এরপর বড় চুড়ি দিয়ে চাপ দিয়ে গোল করে কেটে নিন। চাইলে একটি মোটা কাগজ দুইভাঁজ করে অথবা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়েও রুটির প্রান্তে পাপড়ির মতো নকশা করা যাবে। -
ভাজা ও চিনি/গুড়ের শিরায় ডোুবানো:
পিঠাগুলো গরম তেলে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর একটি পাত্রে চিনি বা গুড় গলিয়ে শিরা তৈরি করুন। এতে দিন এক চিমটি লবণ, এলাচ ও দারুচিনি। শিরা তৈরি হয়ে গেলে তাতে ভাজা পিঠাগুলো দিয়ে দিন। ২ মিনিট রেখে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
🍽 পরিবেশন:
গরম গরম খেতে যেমন মজা, ঠান্ডা করেও পরিবেশন করা যায় এই পিঠা। চাইলে উপরে একটু ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন বাড়তি স্বাদের জন্য।
👉 টিপস:
-
পিঠার মণ্ড বেশি নরম বা বেশি শুকনো যেন না হয়। মাঝামাঝি হলে নকশা সুন্দর হবে।
-
পিঠার ডিজাইন নিয়ে ভয় পাবেন না—প্রাকটিস করলেই সুন্দর হবে।
এই বৈশাখে নকশি পিঠার টেবিল সাজান ঘরের তৈরি ঐতিহ্যে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাগাভাগি করে খান এই মিষ্টি স্মৃতির স্বাদ! 🧡