লন্ডনে কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেদের ১৮ বছরের আগে মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় অনেক বেশি—এমন বাস্তবতাকে “লজ্জাজনক” বলে আখ্যা দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি।
স্কাই নিউজের ‘সানডে মর্নিং উইথ ট্রেভর ফিলিপস’ অনুষ্ঠানে রাউলি বলেন, “পুলিশিংয়ের ইতিহাসে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের প্রতি অনেক ভুল হয়েছে। আমরা এখন অনেক উন্নতি করেছি, কিন্তু এখনও ভুল করি—এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এটা গ্রহণযোগ্য নয় যে, লন্ডনে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেদের শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ১৮ বছরের আগেই মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। এটি শহরের জন্য লজ্জার বিষয়।”
পুলিশ প্রধান স্বীকার করেন, পুলিশ ও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে, যা কার্যক্রম পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ‘স্টপ অ্যান্ড সার্চ’ বা রাস্তার ধরপাকড়ের মতো কৌশল এই উত্তেজনা বাড়ায় বলে জানান তিনি।
রাউলি বলেন, “যারা এই আস্থার অভাবকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হয়, তারা হলো অপরাধী। আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত—সব শিশুকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, তাতে সে কৃষ্ণাঙ্গ হোক বা শ্বেতাঙ্গ।”
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈষম্য আছে। যেমন, কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেদের স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার হার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বেশি। একইসঙ্গে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাও “প্রায় ভেঙে পড়েছে” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“একজন অপরাধীর জীবন বদলে দেওয়ার বদলে যখন বিচারব্যবস্থা কেবল একটি ঘূর্ণায়মান দরজা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটা আমাদের অফিসারদের জন্যও হতাশাজনক,” বলেন রাউলি।
এছাড়া তিনি বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে স্যার ব্রায়ান লেভসনের সাম্প্রতিক সুপারিশগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। লেভসন কিছু মামলায় জুরি ছাড়াই বিচার চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন।
রাউলি জানান, লন্ডনের স্নারেসব্রুক ক্রাউন কোর্টে ২০২৯ সালের জন্য ১০০টিরও বেশি মামলা তালিকাভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, “চার বছর ধরে কেউ জামিনে থেকে বিচার না পেলে সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”