হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমানদের জন্য ফরজ। হজে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ভ্রমণের খরচ নয়, বরং পরিবারের জন্য হজের সময়টুকুর ব্যয়ও নিশ্চিতভাবে প্রস্তুত রাখা আবশ্যক।
প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবের মক্কায় গিয়ে হজ পালন করেন। হজযাত্রীদের অনেকেই হজ শুরুর এক থেকে দেড় মাস আগেই সেখানে পৌঁছান। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন:
“আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে ও ক্ষীণকায় উটে সওয়ার হয়ে, দূর-দূরান্ত থেকে।” (সুরা হজ, আয়াত ২৭)
হজে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি:
১. এজেন্সির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ: সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো ব্যবস্থায় হজে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি।
২. থাকার স্থান ও আনুষঙ্গিক কাজ সম্পর্কে আগাম ধারণা: বিশেষ করে বেসরকারি হাজিদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. অভিজ্ঞ মুয়াল্লিমের উপস্থিতি: হজের নিয়ম-কানুন শেখা এবং সঠিকভাবে পালন করতে মুয়াল্লিমের সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
4. প্রশিক্ষণ গ্রহণ: দেশে থাকতেই হজের নিয়ম-কানুন ও করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেয়া ভালো।
5. সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ: হজ বিষয়ক বই, মোবাইল অ্যাপ ও অভিজ্ঞ হাজিদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিন।
6. জরুরি যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ: হজ এজেন্সি, মুয়াল্লিম, বাংলাদেশ দূতাবাস ও হজ অফিসের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন।
7. মন মানসিকতা তৈরি: হজকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সফর মনে করে আত্মিক প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
8. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: পাসপোর্ট, ইহরাম, পরিচয়পত্র, হোটেল কার্ড, মুদ্রা ইত্যাদি সংগ্রহ করুন ও ব্যবহারে অভ্যস্ত হন।
9. হ্যান্ড ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিস: পাতলা জায়নামাজ ও স্প্রে বোতলে পানি রাখুন যেন যেকোনো সময় অজু ও নামাজ পড়া যায়।
10. লাগেজ চিহ্নিত করুন: নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলা, ইংরেজি ও আরবিতে লিখে লাগেজে লাগান।
11. জরুরি নম্বর লিখে রাখুন: একটি ছোট ফোনবুকে দেশের ও বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ নম্বর লিখে রাখুন।
12. শারীরিক প্রস্তুতি: হজের শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে নিয়মিত হাঁটা ও হালকা ব্যায়াম করুন।
সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে হজে যাওয়ার মাধ্যমে আপনি যেন একটি সুন্দর ও নির্ভুল ইবাদতের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন—এটাই কাম্য।