উইম্বলডনের ঐতিহাসিক ঘাসের কোর্টে ৮৮ বছর পর সৃষ্টি হলো এক গৌরবময় মুহূর্ত। ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় জুলিয়ান ক্যাশ ও লয়েড গ্লাসপুল পুরুষদের ডাবলসে রিঙ্কি হিজিকাটা ও ডেভিড পেল জুটিকে ৬-২, ৭-৬(৩) সেটে হারিয়ে নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয় করেন।
এই জয় শুধু তাদের ক্যারিয়ারের মাইলফলকই নয়, বরং ১৯৩৬ সালের পর প্রথমবারের মতো অল ইংল্যান্ড ক্লাবে কোনো অল ব্রিটিশ জুটি শিরোপা জিতল। সর্বশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন প্যাট হিউজ ও রেমন্ড টাকি।
ম্যাচ শেষে আবেগঘন গ্লাসপুল বলেন, “যখন কেউ বলে—১৯৩৬ সালের পর প্রথম অল ব্রিটিশ জয়, তখন কথাটা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয়। আগের দুই বছরেও একজন করে ব্রিটিশ জিতেছেন, কিন্তু এবার আমরা দুজনই একসঙ্গে জিতেছি।”
প্রথম সেট থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল ব্রিটিশ জুটি। ডেভিড পেলের দুর্বল সার্ভ কাজে লাগিয়ে দ্রুত ব্রেক আদায় করেন ক্যাশ-গ্লাসপুল। প্রথম সেট সহজেই তুলে নেন তারা।
দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়াই করে অস্ট্রেলিয়ান-ডাচ জুটি হিজিকাটা ও পেল। একপর্যায়ে তারা ৪-৪ তে সমতায় ফিরলেও টাইব্রেকারে ব্রিটিশদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।
ক্যাশ বলেন, “আমরা ঘাসের কোর্টে যতটা সম্ভব ম্যাচ খেলেছি। মানুষ আমাদের নিয়ে অনেক কিছু বলছিল, অনেক প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণ করে ট্রফি জেতা—এটা স্বপ্নপূরণের মতো।”
অন্যদিকে, ফাইনালে হেরে গেলেও খুশি ছিলেন রানার্স-আপ ডেভিড পেল ও রিঙ্কি হিজিকাটা। ৩৪ বছর বয়সি পেল জানান, “টুর্নামেন্টের প্রথম দিন আমাদের পরিচয় হয়। একসঙ্গে খেলে ফাইনালে পৌঁছানো সত্যিই অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা।”
২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ডাবলসজয়ী হিজিকটাও শিরোপা না পেলেও ছিলেন উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “ডেভিড দারুণভাবে আমাকে সহায়তা করেছেন। সেন্টার কোর্টে খেলা ছিল দারুণ আনন্দের এবং সত্যিই স্বপ্নপূরণের মতো।”