Uk Bangla Live News | Stay updated with UK Bangla Live News

[t4b-ticker]

ব্রিটেনে ফের ভয়াবহ সি. ডিফ সংক্রমণঃ এক বছরে মৃত্যু প্রায় ২ হাজারের বেশি

ডেস্ক সংবাদ

যুক্তরাজ্যে মারাত্মক গতিতে বাড়ছে Clostridioides difficile বা সি. ডিফ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে এই সংক্রমণে ১৯,২৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২,১৬৪ জনের—যার অর্থ প্রতি ১০ জন আক্রান্তের মধ্যে অন্তত একজন মারা যাচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি কেবল একটি সংক্রমণ নয়, এটি একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীরা এই সংক্রমণকে “জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ডায়রিয়া” হিসেবে বর্ণনা করছেন। সি. ডিফ মূলত অন্ত্রে বাস করা একটি ব্যাকটেরিয়া, যা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পর বা বয়স্কদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সক্রিয় হয়ে মারাত্মক ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে এই সংক্রমণের হার ছিল ৫০ হাজারের বেশি, যা তখন ৭,০০০-এর বেশি মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। পরে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু কোভিড-পরবর্তী সময় থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ঢিলেমি দেখা দেয়ায় ফের বাড়ছে সংক্রমণ।
সি. ডিফ সংক্রমণে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো এর পুনরাবৃত্তি। প্রথমবার আক্রান্ত হলে দ্বিতীয়বার ফেরার আশঙ্কা ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয়বারের পর তা ৪০ শতাংশ, আর তৃতীয়বারের পর তা ৬০ শতাংশে পৌঁছায়। আর প্রতিবার পুনঃসংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকিও।
এনএইচএস-এর জন্য এই সংক্রমণের চিকিৎসা বিশাল ব্যয়বহুল। পুনরায় সংক্রমণের প্রতিটি কেসে খরচ হয় ১৯,০০০ থেকে ৩১,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত, আর নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রে খরচ হয় অন্তত ১১,০০০ পাউন্ড।
সি. ডিফ সংক্রমণ শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবেও ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। রোগীরা জানান, টয়লেটের চিন্তায় তারা ঘর থেকেও বের হতে ভয় পান, কর্মক্ষমতা হারান এবং দুর্বলতা কাটাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
সি. ডিফ ট্রাস্ট-এর চেয়ারপার্সন ও গবেষক ডা. কেরি ডেভিস বলেন, “এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কেবল মানুষ মারা যাচ্ছে না, বরং যারা বেঁচে থাকেন, তারাও দীর্ঘমেয়াদী দুর্বলতায় ভোগেন। প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই, তাহলে আবার সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, এই সংক্রমণ প্রতিরোধে হাসপাতালগুলোতে কঠোর হাইজিন, সময়মতো পরীক্ষা, রোগী আইসোলেশন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতেই হবে। কারণ এটি কোনো ‘সহজ সমাধানের’ বিষয় নয়, বরং এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত মনোযোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই একমাত্র পথ।
যুক্তরাজ্য হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (UKHSA) জানিয়েছে, বৃদ্ধ জনগোষ্ঠী এবং একাধিক রোগে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে NHS ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মিলে তদন্ত ও প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে করণীয়ঃ
*দ্রুত রোগ নির্ণয়ে টেস্ট
*আক্রান্তদের আইসোলেশন
*অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার পরিহার
*হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
*জনসচেতনতা বৃদ্ধি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে যুক্তরাজ্য আবারও একটি বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
সূত্রঃ মেট্রো

 

 

 

Print
Email

সর্বশেষ সংবাদ

304fa7e1509b6063d878a386dd2753b747f568c789febc47
‘গ্রিণ সিগন্যাল’ পেতে যুক্তরাজ্যমুখী সিলেট বিএনপি নেতারা
‘গ্রিণ সিগন্যাল’ পেতে যুক্তরাজ্যমুখী সিলেট বিএনপি নেতারা
163863
এক বোনকে বাঁচাতে পুকুরে নামে আরও দুইজন, একসাথে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
এক বোনকে বাঁচাতে পুকুরে নামে আরও দুইজন, একসাথে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
163873
চলন্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন কালনী এক্সপ্রেসের তিন বগি
চলন্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন কালনী এক্সপ্রেসের তিন বগি
1f27fd307a5351d01f3c2949fa0a0243bea02010fae3437c
নেশার টাকা না পেয়ে মামাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ভাগ্নে
নেশার টাকা না পেয়ে মামাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ভাগ্নে
ac4568079c34b8e69b4b4c37c3eb47eb93253807fa3a89b2
নারীর গলা কেটে হত্যার পর ঘরে গোসল করে পালাল দুর্বৃত্তরা
নারীর গলা কেটে হত্যার পর ঘরে গোসল করে পালাল দুর্বৃত্তরা
Screenshot_1
নেপালের পর এবার ভারতের তরুণদের বিক্ষোভ
নেপালের পর এবার ভারতের তরুণদের বিক্ষোভ

সম্পর্কিত খবর